ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় কোনও ধরনের পেশি শক্তি বা অর্থের প্রভাবকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রার্থীর যোগাযোগ ও জনসমর্থনই মনোনয়নের মূল ভিত্তি হবে। বিএনপির এই নেতা বিবিসি বাংলাকে দেওয়া দুপর্বের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে এসব কথা ব্যক্ত করেন। প্রথম পর্বটি সোমবার প্রচারিত হয়, এবং আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ৯টায় বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে দ্বিতীয় পর্বের সাক্ষাৎকার দেখানো হবে।
সাক্ষাৎকারে তিনি নির্বাচন, রাজনীতি এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। পছন্দের প্রার্থনির জন্য পেশিশক্তি বা অর্থের প্রভাবের অভিযোগের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ’আমরা কখনোই এইসব বিবেচনায় যেসব বিষয় আসে, তা বিবেচনা করি না। আমাদের মনোনয়নের সিদ্ধান্ত সাধারণত ওই এলাকায় যে ব্যক্তি এলাকার সমস্যা ভালো বোঝে, যার সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ রয়েছে, যারা পরিস্থিতির উন্নতিতে সক্ষম এবং জনগণের সমর্থন আছে, তাদের ভিত্তিতে হয়।”
তিনি জানান, “অর্থাৎ, এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, যার সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, তরুণ, নারী, বৃদ্ধ, ছাত্র-ছাত্রীরা যোগাযোগ রাখে। তার জনসমর্থন থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা এমন ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেই, যার জনসমর্থন রয়েছে, যে সেই সমর্থন বহন করতে পারে।”
তৃণমূলের মতামত কতটা প্রাধান্য পাবে, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে যেখানে মতামত থাকা স্বাভাবিক। বিভিন্ন মতামত আসে, কেউ এককভাবে সব বলবে না। জনপ্রতিনিধি যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য মূলত মেজরিটি বা বেশি সংখ্যক মানুষের মতামতই বিবেচনা করা হয়। আমরা আমাদের এলাকাকার মানুষের মতামত খুঁজে থাকি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দলের নেতৃত্ব নির্বাচন করছি না, বরং এমন ব্যক্তিকে খুঁজছি, যে দলমত নির্বিশেষে এলাকার অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পায়। এটি এমন একজন ব্যক্তি, যিনি সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন এবং নিজ এলাকায় জনপ্রিয়। আমরা চাই, এই ব্যক্তি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। কারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ও সাধারণ মানুষের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা সেই ধরনের ব্যক্তির খোঁজ করছি, যার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেও যে সমর্থন আছে।”