জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ দিনের আলোচনায় এই কথা বলেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে এবং আমরা মনে করি, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কাছাকাছি আছি।” গণভোটের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা সকল রাজনৈতিক দল মিলে ধারণা করছি, আমাদের কি জনগণের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। যদি জনগণের কাছে এই গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করা যায় যে, আমরা এই সনদে স্বাক্ষর করেছি এবং অঙ্গীকার করেছি, তখন জনগণের পক্ষ থেকেও এর কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে।”তিনি আরও বলেন, “গণভোটের জন্য সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগ সরকার যে আর্টিকেল ১৪২ এর অধীনে গণভোটের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছিল, তা হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন কেউ সংবিধানে কোথাও গণভোটের প্রতিবন্ধকতা দেখতে পাবেন না। এক্ষেত্রে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে নির্বাচন কমিশনকে এই সুবিধা দিতে পারা সম্ভব, যাতে একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সম্পন্ন করা যায়।” স্লাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গণভোটের মাধ্যমে প্রাপ্ত জনস্ব idée সার্বভৌম ক্ষমতার অভিপ্রায়। তাই সংসদ এবং সংসদ সদস্যরা এই রায় মানতে বাধ্য হবেন।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যদি আগামী সংসদে এই সনদের বিরোধী সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে, তবে তারা জনমতকে অগ্রাহ্য করতে পারবেন না। কারণ, এই ভোট সার্বভৌম সিদ্ধান্ত, যা মান্যতা পাবে।”তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদ প্রণয়ন ও স্বাক্ষরিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এই বিষয়ক ইশতেহারে নিজেদের অঙ্গীকার প্রকাশ করবেন। সেটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ হবে এবং জনগণ জানবে সংশ্লিষ্ট ধারাগুলি কি-কি। যাঁরা এই বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট করবেন, তারা তা অনুসরণ করতে পারবেন।” সুবিধার্থে বোঝানোর জন্য বলে রাখা ভালো, এই প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে চলবে, যাতে সকলের মধ্যে স্পষ্ট যোগাযোগ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।