বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, জনগণের উচিত দেশের উন্নয়নের জন্য এখনই এগিয়ে আসা এবং ভবিষ্যৎ শক্তিশালী করতে ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। তিনি একথা বলেন রোববার নগরীর দৌলতপুরের পূর্বপাড়া ৪নং ওয়ার্ডে এলাকাবাসীর সঙ্গে উঠান বৈঠককালে। বকুল উল্লেখ করেন, বিএনপি শুরুর দিন থেকেই শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক করে দিয়ে আখেরে দেশের সুশিক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চেয়েছিল। তখন বেগম খালেদা জিয়া বুঝেছিলেন, একজন সুশিক্ষিত মা সমাজকে বদলে দিতে পারে। এই ধারণা থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যায় পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বিনা বেতনে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। তিনি বলেন, তখন ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে পথশিশুদের জন্য ‘পড়ালেখার বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল, যেখানে সরকার তাদের শিক্ষার মাধ্যমে অর্থ ও খাওয়ার ব্যবস্থা করত। দুর্ভাগ্যবশত, গত ১৫ বছর ধরে এসব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, দেশনেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রণীত ৩১ দফা সংস্কার রূপরেখা প্রমাণ করে, তিনি দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কতটা দূরদর্শী। তিনি আরও জানান, এই দফাগুলোর প্রস্তাব ৫ আগস্টের বহু আগে তৈরি হয়েছিল, কারণ তিনি জানতেন যে এক সময় শেখ হাসিনাকে ছেড়ে যাবে, এবং তখনই দেশের পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বকুল বলেন, ৩১ দফা একা তৈরি হয়নি; এটি বিভিন্ন সেক্টরের পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক মতামত নিয়ে গড়ে উঠেছে। যারা আজ সংস্কার নিয়ে বড় বড় কথায় থাকেন, তাদের পরিকল্পনার ৯০ শতাংশই তাদের সঙ্গে মিল রয়েছে। আমরা দেশের মঙ্গল ও জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি—এটাই ৩১ দফার মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, এই আলোচনা সভার মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কথা শোনা এবং তাদের সমস্যা, দলের দুর্বলতা বা ভবিষ্যতে প্রত্যাশা লিপিবদ্ধ করা। সরকারের কাছে পৌঁছে, এই বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে দেহের নেত্রী তারেক রহমানের নেতৃত্বে এসব সমস্যা স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দৌলতপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম বাচ্চু। উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি মুরশিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মতলেবুর রহমান মিতুল, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সরদার লিয়াকত হোসেন লাবলু, সাধারণ সম্পাদক শেখ আরমান হোসেন এবং বিভিন্ন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, যেমন রুবায়েত হোসেন বাবু, শেখ রফিকুল ইসলাম, এরশাদ হোসেন ডাবলু, কচি, কবীর, মফিজুল, মিজা, শেখ নাহিদ, খসরু, পলাশ, ডিকলার, আলমগীর কবীর প্রমুখ। এরপর বকুল খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি নিজে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন খানজাহান আলী থানার সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন শেখ এবং ইউনিয়নের সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন। দিনের শেষ কর্মসূচিতে তিনি খুলনা আড়ংঘাটা থানাধীন খানাবাড়ি শাহী জামে মসজিদ ও নূরে মদিনা মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।