বাগেরহাটে সাংবাদিক ও বিএনপি নেতা হায়াত উদ্দিন হত্যার ঘটনায় দেরিতে হলেও অবশেষে মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম এই মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে মোঃ ইসরাইল মোল্লাসহ আরও ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
অতীতের ঘটনা হলো, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালি এলাকায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ৪০ বছর বয়সী এস এম হায়াত উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে একদম নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। হামলাকারীরা ছিলেন একই এলাকার মোঃ ইসরাইল মোল্লা ও তার সহযোগীরা। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নেয়া হয়, কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়, এরপর এলাকায় উপস্থিত জনতার স্বস্তির জন্য তাকে দাফন করা হয়। জানাজা শেষে তার দাফন কার্য সম্পন্ন হয়।
প্রধান অভিযুক্ত মোঃ ইসরাইল মোল্লা হাড়িখালি এলাকার মোঃ আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে। তিনি বিএনপি’র কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এবং ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটির বাগেরহাট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম মামলা দায়ের করেছেন এবং তদন্ত চালিয়ে আসামীদের বিচারের জন্য চেষ্টা চলছে।