ইসরায়েল শনিবার (৪ অক্টোবর) তাদের পক্ষ থেকে জানিয়েছে যে, গ্রেটা থুনবার্গসহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৫৬ জন অভিযাত্রীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এই খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আই ২৪ নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিশেষ অভিযানে গ্রীসের নাগরিকদের পাশাপাশি গ্রেটার মতো বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে একটি বিশেষ বিমানে করে গ্রীসের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে। এই অভিযান শুরু হয় ৩১ আগস্ট, যখন স্পেনের বন্দরে থেকে গাজা উপকূলের দিকে বেশ কয়েকটি নৌকা যাত্রা শুরু করে। সেগুলোর মধ্যে ছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, যেখানে ছিল ৪৩টি নৌযান। এই ফ্লোটিলার মূল উদ্যোক্তা হল ফিলিস্তিন ভিত্তিক চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা—ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে রয়েছে সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডোলা ম্যান্ডেলাস, এছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবক। তাদের মধ্যে ছিল পার্লামেন্টারিয়ান, আইনজীবী, রাজনৈতিক আন্দোলনকারী এবং সাধারণ স্বেচ্ছাসেবক।
কিন্তু ইসরায়েল এই অভিযানে বাধা দেয়। প্রথমে বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে ১৩টি নৌযান তাদের নৌবাহিনীর দ্বারাই আটক হয়, এরপর আরও ৩০টি জাহাজ জব্দ করা হয়। এই জাহাজগুলো গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সবশেষে এসব জাহাজ এবং অভিযাত্রীদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে রাখা হয়েছে।
আই ২৪ নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কিছু অভিযাত্রীর বিরুদ্ধে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়, আটক অবস্থায় গ্রেটাকে ইসরায়েলের সুইডিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়। গ্রেটা বলেছেন, তাকে একটি পরিপূর্ণ চৌবাচ্চার মতো কারাদণ্ডে রাখা হয়েছে, যেখানে তাকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পানীয় দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও, তাকে জোর করে ইসরায়েলি পতাকাকে চুমু দিতে এবং পতাকাটি ধরে ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।