বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে এককভাবে সরকার গঠনের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এই কথা তিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। ডের যুগের বেশি সময় ধরে লন্ডনে বসবাস করলেও তিনি দেশের রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারেক রহমান বলেন, আমার বাংলাদেশের ফেরার সময় খুব দ্রুত অাসছে। তিনি আরও বলেন, একাধারে অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে শেখ হাসিনার সরকার পতন সম্ভব নয়, কারণ তা ছাত্রলীগ নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরিবর্তন আসবে না। সাক্ষাৎকারে তিনি দৃঢ় বলে জনান, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা জয়ী হব। আমাদের ধারণা, আমরা এককভাবে সরকার গঠনের জন্য উপযুক্ত অবস্থানে আছি। তিনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বৈদেশিক নীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের জন্য তিনি কাজ করবেন। এ ছাড়াও তিনি বলেন, বিএনপি নতুন সরকারে দায়িত্ব নিলে কোন প্রতিহিংসার সুযোগ প্রদান করা হবে না। জনমত জরিপে বিএনপি এগিয়ে থাকায়, ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের পর তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও সমালোচনাও করেছেন। তিনি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, বিএনপি অন্যদের নিয়ে গঠন করবে সরকার, যাতে তরুণ নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি আরও যোগ করেন, দেশের অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করতে আমাজন, আলিবাবা এবং ই-কমার্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরবরাহ কেন্দ্র তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। ৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে নির্বাসনে রয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বহু মামলার ঘটনা ঘটেছে, যা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, নতুন বিএনপি সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ঘটাবে। তবে আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে বলেন, যদি তাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে? প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকারালে দুর্নীতি ও বিরোধীদলের ওপর দমন-পীড়নের নানা বিষয় উঠে এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অর্থ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবেন, কারণ তাদের দাবি যারা সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি, তারা অর্থ চুরি করে বিদেশে পাচার করে চলেছেন।