আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী কোনো শঙ্কা করছি না বলে স্পষ্ট করে মন্তব্য করেছেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি মনে করছেন, তবে এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জুলাই মাসের সংশোধনী, বিশেষ করে সনদ সংস্কার, খুব জরুরি।
তাহের বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখন অত্যন্ত স্পষ্ট—নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ও দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিউইয়র্কে সফরকালে বহুবার আলোচনা হয়েছে। আমাদের সবাইকে একযোগে বলতে হয়েছে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সময় মতো উদ্যোগ নিতে হবে। এর জন্য বৈধতা ও আইনের দিক থেকে অবশ্যই শক্তিশালী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তাহের প্রমাণ দেয়, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের মতো নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, সমস্যার সমাধানে অবাধ, নিরপেক্ষ, ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। তিনি জানান, জুলাই মাসের সংশোধন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে, যাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হয়।
তাহের বলেন, বর্তমানে কিছু পক্ষের ষড়যন্ত্র ও দেরি করানো সংস্কার বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। যদি এসবের কারণে নির্বাচনের সময় আবার সমস্যা হয় বা নির্বাচন সংশয় হয়, তাহলে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়ে তাহের বলেন, বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে সরকার ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের একসঙ্গে এই সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করেছিল। তিনি এটা একাত্মতার প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়াও, তিনি প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে, জামায়াতে ইসলামী প্রথম এই দাবি তুলেছে বলে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে, এবং জনগণের পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে তাঁর আশাবাদ।
এক প্রশ্নের জবাবে তাহের স্পষ্ট করে বলেন যে, তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাননি। সেখানে জাতিসংঘের অধিবেশন অংশগ্রহণের জন্য গিয়েছিলেন। আমেরিকায় তাঁদের পরিবার ও মেয়ে রয়েছে, তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন।
অবশেষে, তিনি গুজবের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, অনলাইনে ও মিডিয়ায় বারংবার ছড়ানো এই ধরনের গুজব, যেমন ভারতের সেনা প্রধানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও চিকিৎসারজন্য গিয়েছে—সবই মিথ্যা। এগুলো কৃত্রিম ও অপ্রামাণিত খবর, যা AI টেকনোলজি দিয়ে তৈরি। তিনি বলেন, এসব অপপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং সত্যের পথ অনুসরণ করতে হবে।