নগরীর আদালত প্রাঙ্গণে বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে খুলনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় আদালত সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মীর হত্যা মামলার আসামিরা আদালতে জামিন নিতে উপস্থিত হয়। বিচারক তানিয়া আক্তার, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২, ওই দিন বিকেল ৩টায় জামিনের শুনানি ধার্য করেন। শুনানি শেষে প্রায় ৫০ জন আসামিকে ১৫ দিনের জামিন দেওয়া হয়। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসামিরা আদালত থেকে নামার সময় আসামের পক্ষ ও মামলার বাদীর মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে উত্তেজনা বাড়তে বাড়তে পাল্টা ধাওয়া-প্রতিঘাতের রূপ নেয়। এ সময় আদালত ভবনে থাকা অগ্নিনির্বাপনী গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হয়, যা পরিস্থিতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য, এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর তেরখাদা উপজেলার উত্তর কোলা গ্রামের ফারুক হোসেন মীরকে দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট কোলা বাজার সংলগ্ন শরিফুল ইসলামের বাড়ির ভেতরে ভয়ংকরভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ডে আহত হয় আরও অন্তত ১০ জন। আহত ফারুক মীরকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মামলার বাদী তার পিতা গাউস আলী মীর দিঘলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই এলাকার মোহাম্মদ কাজী, দ্বীন ইসলাম সরদার, নিহাল উদ্দিন শিকদার, রিপন শেখ, মিলটন শেখ, লিটন শেখ, রবিউল শেখসহ মোট ৫৪ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে।