বর্তমান ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ এর দুর্বলতা কাটিয়ে ভবিষ্যতে ই-কমার্সসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য এর সংশোধন ও সংস্কারের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এই খবর জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফারুক আহম্মেদ। তিনি জানান, সরকার দ্রুত এই প্রস্তাবটি পাস করলে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও প্রতিপালনে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমাদের থাকা আইন কিছু সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতাসহ অনেক কমজোরি রয়েছে। এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য সংশোধনমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে ই-কমার্সসহ অন্যান্য খাতে আমাদের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা আমরা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। তিনি স্বীকার করেন, বর্তমানে এই আইনের অনেক দুর্বলতা থাকার কারণে অনেক দোষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে আইনের আওতায় আসতে পারছে না। তিনি উল্লেখ করেন, এই আইনে সংশোধনী আসলে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা খাতগুলোও সরাসরি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতায় আসবে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল সভাপতিত্বে, উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো: হুসাইন শওকত, এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। বক্তারা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিস্তারিত অবহিতকরণ, প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং এর বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ ছাড়াও সরকারি, বেসরকারি এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ক্যাব সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরাও স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়।