বাংলাদেশে কোন সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হোক বা না হোক, তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ কূটনীতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের এক প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিক্রম মিশ্রি বললেন, ‘‘ভারত প্রত্যাশা করে যে, বাংলাদেশে যেকোনো সরকারের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হবে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেমন হওয়া উচিত, সেটার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের। সিভিল সোস্যাইটিকে অবশ্যই সঠিক পথে পরিচালিত করতে হবে যাতে নির্বাচন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হয়। কারণ, এই নির্বাচন দেশের বাইরে থেকেও মহত্ত্বপূর্ণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বর্তমান সরকার চ turbulenceবন্ধনে নির্বাচিত না হলেও, ভারত শুরু থেকে এই সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এর প্রতিফলন হিসেবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রফেসর ইউনূসকে প্রশংসা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এমনকি গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনে ইউনূসকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল, যেখানে তিনি অংশ নিয়েছেন।’’ বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘‘ভারত দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্ব দেয় এবং প্রতিবেশীদের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্ব রয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়টি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রয়েছে। এটা আইনি ও বিচারিক বিষয়, তাই এখনই কিছু বলতে পারছি না।’’ এছাড়াও, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, বাংলাদেশের জন্য ভিসার প্রসার ঘটছে এবং ভবিষ্যতে এই হার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গঙ্গার পানি বিষয়ক চুক্তি ও তিস্তা প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই দুটি বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগ চলমান রয়েছে।’’ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ চার হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। এখানে নিরাপত্তা, মাদক চোরাচালান ও অবৈধ প্রবেশের ঘটনা ঘটে, যেখানে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী নিজ ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।’’