নির্বাচনের একদিন পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত দুই পরিচালকের মধ্যে একজনের পরিবর্তে নতুন একজনকে মনোনীত করা হয়েছে। এ পদে যোগ দিচ্ছেন প্রখ্যাত করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা মতিন।
বিসিবির নির্বাচনের দিন, সোমবার, এনএসসি থেকে ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক দুজনকেই পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। তবে এরপর রাতের মধ্যে কিছু কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে ইসফাকের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তার বদলে নতুন পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয় রুবাবা দৌলাকে। তার এই মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন রুবাবা দৌলা নিজেই।
করপোরেট অঙ্গনে সুপরিচিত এ নারী খেলার ক্ষেত্রেও বেশ সক্রিয় ছিলেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করেছেন। সাথে ছিলেন স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্যও। ২০০৭ সালে গ্রামীণফোন ও বিসিবির যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার।
অতিরিক্তভাবে, রুবাবা দৌলা এখন একটুখানি টেলিকম খাতে ওরাকল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সূত্রমতে, বিসিবিতে রুবাবা দৌলা মহিলা উইংয়ের দায়িত্বেও থাকতে পারেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিডিসিবি পরিচালনা পর্ষদে মোট ২৫ জন সদস্য থাকেন, এর মধ্যে ২৩ জন নির্বাচিত ও ২ জন মনোনীত। গত ৬ অক্টোবর ঘোষণা করা হয় নির্বাচনের ফলাফলে, যেখানে ইসফাক আহসান মনোনীত পরিচালক হিসেবে ঘোষণা হয়। তবে তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার পর, এনএসসি তার মনোনয়ন বাতিল করে দেয়।
তাদের স্থলে নতুন পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন রুবাবা দৌলা। তিনি বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতে এক আলোচিত নাম, যেখানে তিনি গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলে শীর্ষ পদে ছিলেন। ব্যাডমিন্টনে তার অবদান স্বীকৃতি পায় ২০০৬ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ নারী পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে। তিনি দেশের নারীদের উন্নয়নে অবদান রেখে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।