বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক মোঃ আলতাব হোসেন ও তার স্ত্রী জিয়াসমীন আরার ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১৭টি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ জমি ও বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফায়েজের আদালত এই আদেশ দেন। এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে পৃথক দুদকের দুটি আবেদন, যেখানে জমি ও সম্পত্তি ক্রোকের জন্য বলা হয় যে, আলতাব হোসেনের নামে ফরিদপুরে ১২টি জমির মালিকানা রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকার গুলশানে একটি প্লট ও বাড়ির মূল্য ধরা হয় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। তার স্ত্রী জিয়াসমীন আতার নামে রয়েছে দুটি প্লট ও বাড়ি, যার মোট মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, পাশাপাশি ফরিদপুরের আরও দুইটি জমির মূল্য ৩ লাখ টাকা। দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, আলতাব হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার চলমান অবস্থানে এই সম্পদগুলো অন্যত্র স্থানান্তর, রূপান্তর বা হস্তান্তর হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাই, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদগুলো ক্রোকের প্রয়োজন রয়েছে। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে এই নির্দেশ দেন, যাতে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদগুলো দ্রুতই জব্দ করা যায় এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়।