দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার দাম এক দিনেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) মূল্য বিশ্ববাজারের পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম গড়ে উঠেছে। বর্তমানে সবচেয়ে মানসম্পন্ন ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) দাম ৬ হাজার ৯০৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এর ফলে এক ভরি স্বর্ণের দাম আগের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে, যা এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই সঙ্গে রুপার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার জন্য নতুন মূল্য কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার। বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং এ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং বৈঠকে এই দাম বৃদ্ধি অনুমোদন করে, যেখানে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম আরও বাড়ানো হয়, যেখানে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ২ হাজার ১৯৫ টাকা ছিল, যা এখন আরেক ধাপ উঁচুতে উঠে গেল। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম আরও ৬ হাজার ৯০৫ টাকা করে বাড়িয়ে ২ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকা এলো। এছাড়া, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৬৫৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ хувের অসামান্য উচ্চতায় পৌঁছেছে, এবং ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য ৫৬৫৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সনাতনী পদ্ধতির স্বর্ণের মূল্যও ৪৮২৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ৩০০ টাকা হয়েছে।
আগের দিন, ৭ অক্টোবর, স্বর্ণের দাম বেশ কিছু ক্যাটেগরিতে আরও বেড়েছিল, যেখানে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য ৩ হাজার ১৫০ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০৫ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ২৫৭৮ টাকায় উঠেছিল। পাশাপাশি সনাতনী পদ্ধতির দামের বৃদ্ধি ছিল ২ হাজার ১৯২ টাকা।
এদিকে, রুপার দামে ধাপে ধাপে বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। করোনাকালীন সময়ের প্রচলিত দামের তুলনায় আজ অনেক বেশি। স্বর্ণের মতো রুপার দামও বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত হয়েছে। গত ৮ অক্টোবর, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬৫৪ টাকা, যা আগের তুলনায় considerably বেশি। অন্য ক্যাটেগরির ক্ষেত্রে, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ৯৯১ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৪৪৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮৩৯ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮০২ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৮৫৮ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
এভাবে নিয়মিত দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দেশের মূল্যবান ধাতুগুলোর বাজার মূল্য ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে, যা কাতর দামে স্বর্ণার ও রুপার চাহিদাকে আরও জোরদার করছে।