অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যদি এই সময়ে নির্বাচনে না দেখা যায়, তাহলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরবে। তবে, এক বিষয়ের প্রতি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, তা হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। বর্তমান সময়ে মানুষ তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি; তাদের ভোটের অধিকার অনেকটাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেকবারই ভোটের নামে তামাশা দেখানো হয়েছে। তাই, আসন্ন নির্বাচনটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের ভূমিকা সমালোচনা করে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ভারতের কখনোই গণতন্ত্রের বা স্বাধীনতার পক্ষে নয়। তারা নিজের স্বার্থের জন্য সবসময় বাংলাদেশকে ব্যবহার করে এসেছে। দেশের মানুষকে তারা শোষণের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। পাশাপাশি, তারা প্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনেক হিন্দু নাগরিকই নিজস্ব সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন, ভারতের এই অভিযোগের সত্যতা নেই। এজন্য আমাদের অবশ্যই সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
শামসুজ্জামান দুদু জানান, দেশবিরোধী শক্তি এবং পার্শ্ববর্তী দেশের এক ভয়ঙ্কর প্রভাবশালী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা আশ্রয় নিচ্ছেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশ যেভাবে চলার কথা, সেটি হলো তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা। তবে, সেটি এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। সরকার ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও, আমরা বিশ্বাস করি, এই ফেব্রুয়ারি নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যথায়, বাংলাদেশে বিরোধী ষড়যন্ত্র জোরদার হচ্ছে, যেখানে পরস্পরশক্তি কাজে লাগাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের এক ভয়ঙ্কর শক্তি; যেখানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাও আশ্রয় খুঁজে নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মাইনুল ইসলাম তালুকদার (বাদল)। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান (মনির), দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, তাঁতি দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এড. মোঃ মজিবুর রহমান টোটন প্রমুখ।