ডেমোক্রেটিক লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে। This কথা বলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, রাজধানীতে সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সভাটি হয়েছিল, যেখানে দলের প্রয়াত নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আমান উল্লাহ আমান আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আশ্বাস দেন, ইনশাল্লাহ এই নির্বাচন হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং মূল নেতৃত্ব দেবেন, দেশে ফিরে এসে তিনি নির্বাচনি প্রচার কার্যক্রমে থাকবেন।
বলাই থাকছেন না, মানুষ দেখেছেন তারেক রহমানের ভবিষ্যৎবানীর সত্যতা। তিনি বলে গেছেন, দেশ কখনো রাজপথেই ফয়সালা হবে। আজকে দেখা যাচ্ছে, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কিছু ষড়যন্ত্র চলছে। স্বাধীনতার পর থেকে যারা বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছিলেন, তারা आज নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানা চক্রান্ত করছে। বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা স্পষ্ট করে বলছেন, নির্বাচন নস্যাত করার এই চেষ্টাগুলি ব্যর্থ হবে।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে এখন নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিশেষ সময়ে, বিশেষ বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপিকে টার্গেট করে কটাক্ষ করা হচ্ছে। দীর্ঘ ১৬ বছরে আন্দোলন করেছেন, স্বৈরাচার বিরোধী, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জনগণের পাশে ছিলেন জিয়া পরিবার এবং বিএনপি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সাইফুদ্দিন মনিরের ভূমিকার কথা তিনি স্মরণ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্রেটিক লীগের সহসভাপতি মাহবুব আলম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির খায়রুল কবির খোকন, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, গ্লোভাল বাংলাদেশীজ এলায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটসের আহ্বায়ক ও অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।