খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে ভোট দিতে পারেনি। তাদের পছন্দমতো সরকার গঠনের সুযোগ দেয়া হয়নি, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক গভীর অন্যায়। তবে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর স্বাভাবিকভাবেই গণতন্ত্র ফিরে আসবে, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এড. মনা বলেন, “মানুষ এখন ভোট দিয়ে নিজের প্রতিনিধিকে বেছে নিতে চায়। এখন সবাই বুঝতে পেরেছে, যারা ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চায়, তারা প্রকৃত শ্রেণীর শত্রু। যারা এখন পিআর পদ্ধতির কথা বলছে, তারা আসলে ছয় মাস আগে থেকেই নিজেদের প্রার্থীরা ঠিক করে রেখেছে এবং ঘরে ঘরে ভোট চাইছে। মুখে কথা আলাদা, কাজে অন্য, এটাই তাদের মুনাফিকি রাজনীতি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের লড়াই কারো বিরুদ্ধে নয়, বরং ভোটাধিকার রক্ষা ও জনগণের ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বিএনপি বিশ্বাস করে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।” মনা উল্লেখ করেন, “আজ জনগণ জেগে উঠেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এক ত্বরিত উদ্যোগ জরুরি। বিএনপি ও অন্য দলগুলো গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ। দেশের ভবিষ্যৎ হবে মুক্ত, ন্যায়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত এবং জনগণের ভোটে নির্ধারিত। এই আন্দোলন হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই, যা জনগণেরই।” সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক বদরুল আনাম খান, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক আকতার্জামান সজীব তালুকদার, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জলি, ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শেখ আবু সাঈদ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী আফসার উদ্দিন মাস্টার, ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম দীপু, মোখলেছুর রহমান, মাহবুব উল্লাহ শামীম, সাকিব জমদ্দার, মিশকাত হোসেন, নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম জুয়েল, মোল্লা নুরুল ইসলাম, সালাউদ্দিন বুলবুল, সিরাজুল ইসলাম লিটন, মাস্টার রফিকুল ইসলাম, মুরশিদুর রহমান লিটন, ওয়াইজ উদ্দিন শান্টু, মোঃ শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, কাজী ফেরদৌস, প্রভাষক মফিজুল ইসলাম, শামসুল বারিক পান্না, হাবিবুর রহমান হাবিব, এনামুল, জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, আমিনুল ইসলাম মিন্টু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিদ্দিক, ইসমাইল, মজিবর, মশিউর রহমান লিটন, সেলিম আলতাফ খান, মাফিজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মুকুল, আলী হোসেন, মিন্টু কাজী, শহিদুল আলম, জাহিদুর রহমান, নুরুল ইসলাম, মোঃ নাসিম, রাহাত আলি লাচ্চু, মাহমুদুল হক টিটু, মিরাজ, শাহিন, শুভ, মনজুর, শাহীনের রুবেল, মোহাম্মদ মাসুদ, মাইদুল হকটুকু, গোলাম কিবরিয়া, সাজু হাওলাদার, শেখ তারিখ, শফিকুল ইসলাম, সজল, ফয়সাল অ্যামিন, দ্বীপ ইব্রাহিম নয়ন, আরিফা আশরাফির চুমকি, কাকলি, লাবনি, মেহেরুন্নেসা মিতু, সোনিয়া, সুজানা জলি, শিল্পী, লাকি, তিসা জুলি সুলতানা, সালমা আনোয়ারা চম্পা ফরিদা, রোজিনা, মিনার রহিমা, আনিকা প্রমুখ।