কয়রা উপজেলায় বিএনপি যুব সমাবেশে অংশগ্রহণের পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু তাহের হিরা (৫০) ইন্তেকাল করেছেন। তিনি बुधवार দুপুর ৩টার দিকে পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুকালে তিনি পিতা-মাতা, স্ত্রী, ভাই-বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন। মরহুমের জানাজার নামাজ এশাবাদ নগরীর বসুপাড়া জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে বসুপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আবু তাহের হিরার মৃত্যুতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জেলা ও দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাতে জয়গান্য কয়রা উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে যুব সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি চলছিল। এই সময় তিনি পাইকগাছায় এক হোটেলে আলাপচারিতার জন্য বসে ছিলেন। তখনই তিনি হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে পথিমধ্যে গদাইপুরে পৌঁছানোর সময় তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সঞ্জয় কুমার মন্ডল বলছেন, আবু তাহেরের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় প্রেরণ করা হয়েছিল। এর আগে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোল্লা ইউনুস আলী বলেন, হীরা ভাই অসুস্থ হলে প্রথমে হাসপাতালে আনা হয়, এরপর পথিমধ্যে তার মৃত্যু ঘটে।
অন্যদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান রনু জানান, তিনি যুব সমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে পাইকগাছায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন ও হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয় এবং তিনি রাস্তায় মারা যান।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন খুলনা বিএনপি কর্মকর্তারা। নেতৃবৃন্দ তার জন্য দোয়া ও মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আজীবন রাজনৈতিক সংগ্রামে যুক্ত এই সহযোদ্ধার আকস্মিক মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে। একই শোক প্রকাশ করেছেন ধানী শীষের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম কাগজি ও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।