নেত্রকোনার সদর উপজেলার কাঠমিস্ত্রি রিপন মিয়া ২০১৬ সালে একটি ভিডিও পোস্ট করার পর তার জীবন বদলে যায়। এরপর থেকে তার তৈরি মজার মজার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে, যা তাকে দেশের পরিচিত একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। তবে সম্প্রতি তিনি সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, তার পরিবারের ওপর বেআইনি হেনস্তা ও হয়রানি চালানো হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগে তিনি বলছেন, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকলেও অনুমতি না নিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবন বা ঘরের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে। এক ফেসবুক পোস্টে রিপন লিখেছেন, আমি রিপন মিয়া, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই কাজে আছি। এই সময়কালে কারও ক্ষতি করলাম না, বরং মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি তার পেজ হ্যাকের চেষ্টা, টিভি ইন্টারভিউ না দেয়া, এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন কিছু চক্র। সোমবার ঢাকায় পৌঁছে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আমার বাড়িতে যান, যেখানে তারা অনুমতি না নিয়েই পরিবারের নারী সদস্যদের ভিডিও করেন এবং উল্টো প্রশ্ন করেন। এমনকি, পরিবারের মহিলা সদস্যরা ঘরে থাকলেও তারা অনৈতিকভাবে প্রবেশ করে। রিপন মনে করেন, তার পরিবারের কেউ শিক্ষিত নয়, তাদের মিডিয়ায় আসার অভিজ্ঞতাও কম। তিনি বলেন, আমি কখনো চাইনি আমার পরিবার বা সন্তানদের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি। টিভি চ্যানেলের নাম প্রকাশ না করলেও, এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলছেন, যারা এই কাজ করেছেন, তাদের বিবেকের দিকে চেয়ে দেখা দরকার। নিজের আয়ের মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের ভালো থাকা সম্ভব, এর কোনও অন্যায় থাকতে পারে না। লোকজন যেন নিজেদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন, এবং সবাই ভালো থাকুক, সেই কামনা করে তিনি সকলের দোয়া চেয়েছেন।