জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (প্রচার মাধ্যমের ভোটাধিকার) পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জুলিই সনদে আগাম NOVEMBER মাসে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব যদি অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, তাহলে জামায়াতে ইসলামীরা সে সনদে স্বাক্ষর করবেন না বলে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। এই ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি. গোলাম পরওয়ার। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন, যেখানে ‘জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল আমরা জুলিই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি এবং দলের মধ্যে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদি নভেম্বরের গণভোটের জন্য প্রস্তাবিত বিষয়গুলো সমাধানে আলোচনা করে আমাদের সন্তুষ্টি আসে, তবে আমরা স্বাক্ষর করতে পারব। কিন্তু যদি তাদের দৃষ্টি হয় যে, এই বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয় বা অগ্রাধিকার নয়, তাহলে স্বাক্ষরে অনাগ্রহ থাকবে।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের খসড়ায় উভয় কক্ষে পিআর প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, সেটি গণভোটের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে হবে। যদি সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করে, তাহলে আমাদের মানতে হবে। আর যদি না মানে, তবুও মানতে হবে। কারণ, জনগণের মতামত না নেওয়া হলে এ বিষয়টি অচল হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, একদিনে গণভোট ও নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করার পক্ষে আমরা। এক দিনে না হলেও, দুই বা তিন দফায় ভোটাভুটির পরিকল্পনা থাকতে পারে। এই জন্য জরুরি সময়ের বাইরে না গিয়ে সময়মতো পরিকল্পনা করতে হবে।’
অন্যদিকে, গোলাম পরওয়া অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে হঠাৎ কিছু গোপন সম্পর্কের জালঁর উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘শুধু ভয় দেখানো বা বিভ্রান্ত করা তুলনায় মূলত উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোন বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা যদি হয় তাহলে তা রুখে দেওয়া হয়।’
জামায়াতের প্রধান বলেন, ‘ইতোমধ্যে অনেক সংস্কার করা হয়েছে, কিন্তু তা কি যথেষ্ট? যদি কোন দলের পকেটে আরেকটি বড় রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, তাহলে এই সকল পরিবর্তন বৃথা হয়ে যাবে। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবধান থাকতে হবে, না হলে দেশের সব রক্তদানের কর্মসূচি, অভ্যুত্থান বা চুক্তি অর্থবহ থাকবে না।’