যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার খুলনা বিভাগের মোট ২০টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পাস করতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল সাতটি। এছাড়াও, শতভাগ পাসের তালিকায় ছিল ১৩টি প্রতিষ্ঠান, যা এবার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫টিতে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মতিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, খুলনা বিভাগের এই ২০টি কলেজের মধ্যে ডুমুরিয়া মডেল মহিলা কলেজ থেকে ১ জন, খুলনা হোম ইকোনমিক্স কলেজ থেকে ১ জন, পাইকগাছার কপিলমুনি সহচারী বিদ্যা মন্দির থেকে ৫ জন এবং তেরখাদা উপজেলার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, কেবল তারাও কেউ পাস করতে পারেনি।
অপরদিকে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিএন কলেজ থেকে ১১ জন, মাগুরার বোজরুক শ্রীকুন্ডি কলেজ থেকে ৮ জন, রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪ জন, মোহাম্মদপুরের কাইনেরগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে ৯ জন, বীরেন শিকদার আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১১ জন, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের শিংজর গোপালপুর কলেজ থেকে ১৮ জন, সাতক্ষীরার আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজ থেকে ৯ জন, সাতক্ষীরার কমার্স কলেজ থেকে ২ জন এবং কুষ্টিয়ার আলহাজ্ব আব্দুল গনি কলেজ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ উত্তীর্ণ হয়নি।
এছাড়া, যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া হিজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস কলেজ থেকে ৭ জন, চৌগাছার মারুয়া ইউসুফ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৬ জন, অভয়নগরের শ্রীধারপুর ইউনিয়ন কলেজ, কেশবপুরের বুরুলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১০ জন এবং ঝিনাইদহের মুনুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার পরও সবাই অযোগ্য ঘোষণা পান।
প্রফেসর আব্দুল মতিন জানিয়েছেন, শূন্য পাস হওয়া কলেজগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।