গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভোটের মাঠে মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সবাইকে একত্রে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। তিনি বলেন, নানা ইস্যুতে আমাদের মধ্যে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু দলীয় ঐক্যই আমাদের শক্তির মূল কেন্দ্র। ভিন্নমত থাকলেও তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। বিএনপি হচ্ছে সাধারণ মানুষের দল—এ দল কখনোই ব্যক্তিপরস্ত স্বার্থে আঘাত হানবে না। ধানের শীষ প্রতীক শুধু একটি রাজনৈতিক চিহ্ন নয়, এটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতীক। দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমাদের সবার জন্য বাধ্যতামূলক। যে প্রার্থী দল মনোনীত করবে, তার পক্ষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সংগঠনিক সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভাটি সড়ক সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কেউই দলের নামোতেষ স্লোগান দেবে না—আমরা সবাই ধানের শীষের কর্মী। দলীয় আলোচনা ব্যক্তিপূজা ভিত্তিক নয়, বরং নীতির উপর ভিত্তি করে রাজনীতি করতে হবে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ও সর্বোচ্চ। বিএনপি’র শীর্ষ মহল মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কোনও নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পেলে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সতর্ক করে দেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার, গুজব ছড়িয়ে বা দলীয় ঐক্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “দল ও নেতৃত্বকে সম্মান না করতে পারলে কেউ বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না,” এই কথা তিনি বলেন। এখন সময় মাঠে নামার। ভোটারদের ঘরে ঘরে পৌঁছে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সালাম পৌঁছাতে হবে। তাঁদের নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ভোটের মাঠে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করতে হবে। এমন একটি গোষ্ঠি রয়েছে যারা নির্বাচনের বিলম্ব করতে চায় বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে দিতে চায়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকাটা জরুরি। দেশের জনগণ এখন পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে হবে বিএনপিকে। বাংলাদেশের মানুষ অবিরত তাদের নির্যাতন ও জুলুমের জবাব দিতে চাই Voting মাধ্যমে। ভোটের মাধ্যমেই ক্ষতিগ্রস্ত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব—এ বিশ্বাস দৃঢ়। তাই দলের প্রতিটি কর্মীকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানান তিনি। বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের বিজয়ের মূল চাবিকাঠি। মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “চলুন, সবাই মিলে দলের পতাকা উঁচু রাখি। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জন করি। ধানের শীষের বিজয় দিয়ে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
সভায় বক্তৃতা করেন নগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক রেহানা ঈসা, সদর থানা বিএনপি’র সভাপতি কেএম হুমায়ূন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানার সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, খালিশপুর থানা সভাপতি এড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবু, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, দৌলতপুর থানার সভাপতি মুরশিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, খানজাহান আলী থানার সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান মিজান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, সাংবাদিকরা মিজানুর রহমান মিলটন, রকিবুল ইসলাম মতি, আতিয়ার পারভেজ, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, রবিউল ইসলাম রুবেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিরাজুর রহমান মিরাজ, মহিলা দলের সৈয়দা রেহানা ঈসা, এড. হালিমা আক্তার খানম, আজিজা খানম এলিজা, শ্রমিকদলের মজিবর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, দ্বীন মোহাম্মাদ, আলমগীর হোসেন, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, জাসাসের ইঞ্জি. নুর ইসলাম বাচ্চু, একেএম জলিল, ওলামা দলের মাওলানা আবু নাঈম, হাফেজ আল আমিন, ছাত্রদলের মাজহারুল ইসলাম রাসেল, সৈয়দ ইমরান, আরিফুর রহমান আরিফ, শাকিল আহমেদ, মাহিমুল হক মাহিম, শেখ ইউসুফ, সিয়াম, বিপ্লব ও ফয়সাল সহ অনেক নেতাকর্মী।