জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জুলাই যোদ্ধারা। এই সংঘর্ষে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং ব্যাপক ধ resemblance ে সম্মুখীন হয়। হতাহতের মধ্যে অন্তত ২০ জন আহত হন। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, এবং আন্দোলনকারীরা রোড ব্লকার হিসেবে ব্যবহৃত ব্যারিকেডগুলো একত্রিত করে তা জ্বালিয়ে দেন। অন্যদিকে এমপি হোস্টেলের সামনে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। শুক্রবার দুপুর ১:২৫ মিনিটে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং ১:৪৫ মিনিটের দিকে তারা টায়ার ও প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে আগুন জ্বালিয়ে দেন। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এলাকায় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এই ঘটনায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, যা সাধারণ মানুষকেও হাঁটাচলা করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়।’
অপরদিকে, ‘জুলাই জাতীয় স্বীকৃতি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা চলছে সংসদ ভবন এলাকা ও আশপাশে। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আহত বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে তারা সকাল থেকেই অবস্থান নেন। এই পরিস্থিতিতে সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে ব্যাপক সংর্ঘষ সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গেট বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনকারীদের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা ঠেকায়, তবে আন্দোলনকারীরা বারবার গেট খুলে দেওয়ার আবেদন জানান।
সংসদ ভবন এলাকা ও কাছাকাছি বিভিন্ন বাহিনী—পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত থাকেন এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন। আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের একদল আড়ংয়ের দিকে, অন্য দল খামার বাড়ির দিকে অবস্থান নেয় এবং পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকেন।
আদিবাসী এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা সকাল থেকেই এক নয়, বহু দফায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের স্বীকৃতি ও সম্মান জানানোর জন্য এই আন্দোলনে অব্যাহত থাকেন। তবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
আহত ২০ জন জুলাই যোদ্ধাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে আতিকুল গাজী জানান, ‘আমরা নিজের দাবি এবং স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করেছিলাম। সরকার আমাদের দাবি উপেক্ষা করে কেবল স্বীকৃতি অনুষ্ঠান করেছে। এই অপরাধের প্রতিবাদে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে আমরা আহত হই।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, যার ফলে আশেপাশের দোকানপত্র বন্ধ হয়ে যায় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশি এই হামলার ফলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি সাময়িকভাবে ভয়াবহ হয়ে ওঠে।