সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাড়িভাড়া ভাতা দাবিতে নতুন ঘোষণা দিলেও, তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা হিসেবে প্রদান করা হবে। তবে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে, এই মানদণ্ড তাদের আর্থিক পরিস্থিতির সাথে মানানসই নয়।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা আসে, যেখানে বলা হয়, বাজেটের সীমাবদ্ধতা থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই ভাতা নিয়মিত মানদণ্ড অনুযায়ী দিতে হবে এবং অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
অভিনেতা-প্রতিনিধিরা এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে, নতুন দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা মূলত চাইছেন ভাতার পরিমাণ বাড়ানো, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধি, যা তারা দীর্ঘদিন থেকে তাদের যৌক্তিক অধিকার হিসেবে মনে করছেন।
গত মাসে সরকারের তরফ থেকে ভাতার পরিমাণ কিছুটা বাড়ানো হলেও, শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে নতুন চাহিদা ও আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে ঘোষণা দেন। শিক্ষকদের দাবি, তাদের জন্য এবার বাড়ানো হোক মূল বেতনের ২০ শতাংশের ভাতার হার, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা করা, এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মোট বেতনের পাশাপাশি তারা বছরে দু’টি উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন, যার পরিমাণ আগে ছিল ২৫ শতাংশ, এবং মে মাসে বাড়ানোর পর তা এখন মূল বেতনের ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। শিক্ষকদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য, শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষকদের কর্মস্থলে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের এই সংগ্রাম চলবে।