বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, চলুন আমরা সবাই মিলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই প্রক্রিয়ায় রাজনীতির স্বচ্ছতা ও সামঞ্জস্য বাড়ানো জরুরি, যাতে জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত থাকে।
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজিত জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের এক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকাল বেশিরভাগ ট্রেড ইউনিয়ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার ও তাদের স্বার্থে কাজ করতে হবে, যেন শ্রমিক শ্রেণी সমাজের মূল চালিকা শক্তি remains থাকেন।
‘জুলাই সনদ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই চুক্তিতে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করেছে। এটি দেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে আরও সুসংহত ও রাজনীতিকে স্বচ্ছ করে তোলে। এগুলো দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অপর দিকে, সম্প্রতি পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব ঘটনা দেশবাসীর জন্য কোনো ভালো বার্তা দেয় না। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে যে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে, তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে এবং এই প্রক্রিয়াকে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও ধৈর্য্যে এগিয়ে নিতে হবে।
বিজয় ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদকেন্দ্রিক রাজনীতি করার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, সব কাজ সংসদকে ভিত্তিব করে করতে হবে, কারণ গণতন্ত্রের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতা একইভাবে অর্থবহ سيكون।
ঐতিহ্যবাহী মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে পরীক্ষার একটি মাধ্যম, যেখানে নির্ধারিত হবে আমরা কি সত্যিই উদার ও অন্তর্ভুক্তিপূর্ণ গণতন্ত্র পাব কি না। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতিফলন।
সবশেষে, তিনি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানান যে, চলুন সবাই মিলে ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর না করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিই। তবে, ‘জুলাই সনদে’ এনসিপি স্বাক্ষর না করার বিষয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন, আশা প্রকাশ করেন, তারা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে স্বাক্ষর করবে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।