কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অন্যতম ঘটনা হলো মোশারফ হোসেন মুসা (৫৫) নামের এক ভ্যান চালকের মৃত্যু। তিনি তার নিজ বসতঘরের বারান্দায় দুর্বৃত্তদের দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শান্তিডাঙ্গা গ্রামে।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত মোশারফ হোসেন মুসা ওই এলাকার মৃত আকবর মণ্ডলের ছেলে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শনিবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যায়। মরদেহের বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোশারফ প্রতিদিনের মতো তার বসতঘরের বারান্দায় ঘুমোতেন। শনিবার রাতেও তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। তবে ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে গিয়ে তার রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। বিভিন্নভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান চুরি করতে গিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আবার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি শত্রুতা ও পূর্বশত্রুতার জেরেএ ঘটানো হয়েছে।
নিহত মোশারফের মেয়ে শিখা বলেন, ‘আমার বাবা মোটেও ভ্যান চুরির জন্য এতটা নির্মমভাবে মারা যেতে পারেন না। এটি শত্রুতার কারণে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’ তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র মতে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক ও সাংঘাতিক শত্রুতার নিয়মিত বিরোধ থাকতে পারে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদি হাসান বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির বুকে হাঁসুয়া বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি কেবল ভ্যান চুরির জন্য নয়, বরং অন্য কোন কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা হয়। যদি ভ্যান চুরি হয়ে থাকত, তবে সেটাও সাথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালেলছে, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হবে।’