সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এর পর খুব বেশি অনুশীলনের সুযোগ না পেয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা দ্রুতই ফিরে যান আন্তর্জাতিক মাঠে। দিন তিনেকের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ, এবং সেই চাপে তারা সফল হয়েছেন মিরপুরের মাঠে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত বলেঘূর্ণিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৩৩ রানে অলআউট করে দিয়েছে টাইগাররা, ফলে ৭৪ রানের বড় জয়ে সিরিজে ১-০ betekent।
মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ, তবে শুরুটা খারাপ হয়নি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন তাওহিদ হৃদয়, ৫১ রান। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪৬ রান করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই দোটানা সৃষ্টি করতে পারেননি। উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় তারা ৪৯ ওভার ৪ বলের মধ্যে সব উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে।
জবাব শুরু হয় বাংলাদেশি ওপেনারদের উড়ন্ত ব্যাটিং দিয়ে। তবে প্রথম ইনিংসের শুরুতেই বোঝা যায় তারা বেশ সাবধান। প্রথম ১০ ওভারে শুধুই সংগ্রহ, কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিজেরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তাওহিদ হৃদয় ৩১ বলে ৫১ রান করে দলের অবদান রাখেন। এরপর অঙ্কন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৬ বলের মধ্যে ৪৬ রান আনেন।
অপর দিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শুরু হয় ভালোই। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান যোগ হলেও বাংলাদেশের বলার মানসিক চাপ থেকে উতরাতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। রিশাদ হোসেন দলের অন্যতম সেরা পারফর্মেন্স দেখিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন, এটি তার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা বোলিং। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে পঞ্চম উইকেটের জন্য তিনি ৫ উইকেট শিকার করেন। প্রথম ইনিংসে তাদের ব্যর্থতার পেছনে মূল কারণ ছিল অফ স্পিনের সঙ্গে রিশাদের দুর্দান্ত স্লো বল।
বিশেষ করে, ৩৯তম ওভারে জেডন সিলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ করেন তিনি। তার এই দারুণ পারফর্মেন্সের ফলে ম্যাচের টাইটেল হয় তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে ব্যাটসম্যানরা শুরুতেই ধাক্কার মুখে পড়লেও, বাংলাদেশি স্পিনাররা তাদের ধৈর্য্য ধারণ করে মূলত এভাবেই জয় নিশ্চিত করে।
অন্তিম সময়ে, রিশাদের লেগ ব্রেক পরের ওভারে জাদুকরী শটে ৬ উইকেট অর্জন করে বাংলাদেশ। এই পারফরমেন্স তাকে ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার এনে দিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশি ব্যাটাররা শুরুতেই কিছু ঝামেলা বাঁধলেও শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে তাদের সংগ্রহ দুইশোর কাছাকাছি পৌঁছায়। আনুষ্ঠানিকভাবে, এই জয়ে বাংলাদেশ এখন সিরিজে ১-০ এগিয়ে রয়েছে।