খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেছেন, অতীতে যারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে সংবাদপত্রে সংবাদ ও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন, তারা কখনোই বিএনপির সদস্য হতে পারেন না। বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ ক্ষেত্রে নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা স্বাভাবিক হলেও, যারা দলের শৃঙ্খলা ভেঙে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর মত প্রকাশ করেছেন, তারা বিএনপির অংশ নয়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এখন বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সাহসী আন্দোলনে সংগ্রাম করছে। এই সময়ে যারা দলের বিভ্রান্তি Generate করেছেন, তারা অজান্তে আওয়ামী লীগের স্বার্থকেও রক্ষা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে যারা প্রকাশ্যে বিদ্রোহের হুঙ্কার দিচ্ছেন, তারা কখনোই বিএনপির আদর্শের অংশ হতে পারেন না। বিএনপি কারো ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নয়, এটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গঠিত একটি জনগণের দল। নেতৃত্ব অর্জনের জন্য ত্যাগ, আনুগত্য ও সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতার ঘুম নেই। নাটকীয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নয়, বাস্তব কর্মের মাধ্যমে দলের মূল আদর্শ বজায় রাখতে হবে।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক প্রচার মিছিল শেষে পথসভায় এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট মনা আরও বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় জিয়া পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি ও নেতাকর্মীদের প্রতারণা করেছে, তারা বিএনপিতে স্থান পায় না। খুলনা বিএনপি এখনও আগের চেয়েও বেশি ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্রকারী বা দলবিরোধীকে দলে নেওয়া হবে না। শহরের রয়্যাল মোড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে প্রচার মিছিলটি শেষে শিববাড়ি মোড়ে পথসভায় মিলিত হয়।
নেতৃত্ব পরিচ্ছন্ন ও দলের প্রতি আনুগত্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে দলীয় সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি কারণ আমাদের দেশ ভালোবাসি। দলের ভিতরে বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে তিনি মন্তব্য করেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় জিয়া পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি ও নেতা-কর্মীদের প্রতারণা করেছে এবং বিএনপি অফিসের সামনে গড়াগড়ি দেয়ার মতো নাটক করেছে, তারা কখনোই দলের অংশ হতে পারে না। খুলনার মানুষ এমন নেতাদের বিএনপিতে দেখতে চায় না।
তুহিন আরো বলেন, খালনা বিএনপি এখন আন্দোলনের সফলতার প্রতীক। এর হাত ধরে খুলনায় ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও এই মাটিতে ফ্যাসিস্টদের ঠাঁই হবে না। আগামী নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, খুলনার ছয়টি আসন ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত দলীয় হাইকমান্ডের উপরই নির্ভর করছে। খুলনা বিএনপি সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ ও অঙ্গীকারবদ্ধ, পলায়নপর নেতাদের জায়গা এখানে নয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ ও থানা, ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, জাসাস, মহিলা দল, তাঁতীদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি হচ্ছে দেশের মানুষের মুক্তি, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার ও রাষ্ট্রের মেরামত। খুলনা মহানগর বিএনপি এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ শক্তি নিবেদন করবে।
আজকের কর্মসূচি: বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রূপসার ফেরিঘাট থেকে রয়্যাল মোড় পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।






















