বাংলাদেশের আকাশে আবারও নতুন এক লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা পূর্ববর্তী কিছু দিনের মধ্যে দৃশ্যমান ছিল। কয়েক দিন আগে তৈরি হওয়া একটি লঘুচাপ দুর্বল হয়ে গিয়ে বিলীন হয়ে যায়। তবে, গতকাল শুক্রবার সকালে আবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি লঘুচাপ গঠন হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এই লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে আসন্ন সময়ে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে, এই লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা। তবে, সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এর প্রভাব প্রধানত ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে পড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশে আংশিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সামনের সপ্তাহের শেষ দিকে দেশের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির সৃষ্টি করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, “নতুন গঠিত এই লঘুচাপটি বর্তমানে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারার সম্ভাবনা আছে। তবে, এর মূল প্রভাব ভারতের উপকূলে দেখা যাবে। বাংলাদেশের উপকূলেও আংশিকভাবে এর প্রভাব থাকতে পারে, যা বুধবারের দিকে বৃষ্টির কারণ হতে পারে।”
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টি নেই, এর ফলে তাপমাত্রা গরম আরও বেড়ে গেছে। কয়েক দিন আগে সাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হলেও দ্রুত দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রভাব ফেলেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ উল্লেখ করেন, “এই লঘুচাপের কারণে ২৯, ৩০ ও ৩১ আগস্ট বাংলাদেশের আকাশে হালকা থেকে মাঝারি স্তরের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে এই বৃষ্টিপাত বেশি হতে পারে।”
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, “এই লঘুচাপটি ভারতের আন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাڑু অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। স্থলভাগে ওঠার পরে কিছুটা উত্তর দিকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পশ্চিমা বাতাসের ধাক্কায় এর অংশ বাংলাদেশের দিকেও মেঘ আকারে পৌঁছানর আশঙ্কা রয়েছে।”
প্রথমিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এবারের লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, যদি এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়, তবে উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, “লঘুচাপটির গতি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। এর পরে, স্থানীয় স্থলভাগ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে কিছু অংশ আসতে পারে, ফলে ২৯ অক্টোবর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।”






















