বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবার কমানো হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দামের পতন। দেশের স্বর্ণের বাজারে এ মূল্য কমার ফলে আমদানিকারক, বিক্রেতা এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এটি সুখবর। আজ বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দরের কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বাজারে স্বর্ণের দাম এই প্রথমবারের মতো এত বেশি কমলো, যার ফলে মানুষ আরো বেশি স্বর্ণ কেনার উৎসাহ পাচ্ছেন। এই দাম কমানোর সিদ্ধান্তটি বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং এ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং এর বৈঠক শেষে নেওয়া হয়, যেখানে এই মূল্যস্খাৎ নিশ্চিত করা হয়েছে। আবারও এটা জানানো জরুরী যে, এর আগে ২০ অক্টোবর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল, যার ফলে স্বর্ণের দাম সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছিল। সেই মুহূর্তে, ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা।
নতুন দরে, বিশেষ করে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এক ভরি কমে দাঁড়ালো ২ লাখ ৮ হাজার ৩৮২ টাকা। একইভাবে, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এখন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে, আর সনাতন পদ্ধতিতে এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন ১৪২,২২৯ টাকা।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০ অক্টোবর স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল, যেখানে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫০ টাকা বেড়েছিল। তবে এই নতুন পরিবর্তনের মাধ্যমে বাজারে স্বর্ণের মূল্য আরও স্বস্তির জোড়ালো বার্তা পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে, রুপার দামের ক্ষেত্রেও এই মূল্যস্খাৎ দেখা গেছে। ২২ ক্যারেটের রুপার দাম এক ভরি কমে ৫ হাজার ৪৭০ টাকা, ২১ ক্যারেটের ৫,২১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৪ হাজার ৪৬৭ টাকা আর সনাতন পদ্ধতিতে ৩ হাজার ৩৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, ২০ অক্টোবর ৬ হাজার ২০৫ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যারেটের রুপার দাম বাড়ানো হয়েছিল, কিন্তু এখন মোট মূল্য ফের কমেছে।
সার্বিক পরিস্থিতিতে, এই দাম কমানোর ফলে ক্রেতাদের জন্য স্বর্ণ কেনাকাটার সুযোগ আরও সুগম হচ্ছে এবং বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে।






















