ঢালিউডের প্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যागে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন তারা শনাক্তকরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। দ্রুতই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রমনা থানার ওসি ওমর ফারুক।
২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর আদালত সালমান শাহের মৃত্যুকে হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করার নির্দেশ দেন। এর একদিনের মধ্যেই, অর্থাৎ ২১ তারিখে, সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় একটি হত্যা মামলার আবেদন করেন। মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো নামের জন্য পরিচিত সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, জনপ্রিয় খলনায়ক ডন, অভিনেত্রী লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়া বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক জানান, সালমান শাহ হত্যা মামলার জন্য আসামিদের দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধের জন্য তাদের কাছে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন অভিযুক্ত দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, আবার কেউবা দেশে। দেশ থেকে তাদের বিদেশে সফর এড়াতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের মধ্যে থাকা আসামিদের সনাক্ত করে দ্রুত گرفتار করা। তিনি আরো জানান, তারেকেঅসর সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
সালমান শাহ ছিলেন ১৯৯০ এর দশকের এক জনপ্রিয় চিত্রনায়ক। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি রহস্যজনকভাবে মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি তখন আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিলেন তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক, তবে সালমান শাহর পরিবারের মতে, এটি এক পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিবারের অভিযোগ, তাকে মনগড়াভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র : সময় সংবাদ






















