বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা খাতে বাজেটের বড় একটি অংশ বরাদ্দ রাখা হবে। এর পাশাপাশি ভাষা শিক্ষা, খেলাধুলা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করে তোলা হবে, যাতে তারা উন্নত জীবনগাঠামো উপভোগ করতে পারে এবং দেশের ভবিষ্যৎ শক্তিশালী হয়। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের কেবল শিক্ষকতা নয়, সংসার চালানোর জন্য অন্য কোনও কাজ করতে হবে না, এর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিশুদের মধ্যে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে তিনি শিক্ষকদের অবদান আরও বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজির সঙ্গে নতুন এক বা দু’টি ভাষা শেখানোর পরিকল্পনার কথাও জানান, কারণ এসব দক্ষতা আন্তর্জাতিক কাজ ও বিদেশে কাজের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তিনি আরও জানান, মাধ্যমিক স্তরে কারিগরি শিক্ষাকে আরও বিস্তৃত করা হবে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হবে যেন তারা সামনে এসে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আগ্রহে অংশ নেয়; সকাল থেকেই বিদ্যালয় মাঠে ছুটে আসে শিক্ষার্থীরা, যা অনুষ্ঠানস্থলকে কানায় কানায় ভরে তোলে। সেখানে জাতীয় ও দলীয় সংগীতের সঙ্গে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি দেশ ও পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো পড়াশোনা অপরিহার্য।
এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, বিগত ২৫ বছর আগে তারেক রহমান বাংলাদেশে নতুন ধরনের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকর। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সংস্কার ও পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতির আগেও বিএনপি তা বলেছে।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা আর বিনিয়োগে বড় অঙ্ক বরাদ্দ করা হবে। শিক্ষকদের অঙ্গীকার করতে হবে, শিক্ষকতা করেই তারা সংসার চালাবে। এ ছাড়া, ভালো শিক্ষার জন্য বাংলা ও ইংরেজির সঙ্গে আরও একটি ভাষা শেখানো হবে এবং কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ৭ম-৮ম শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষা চালু করতে হবে এবং মেধাবী ছাত্রদের অসুবিধা না হয়, সে জন্য তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুললে, দুর্নীতিমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অতীতের মতোই, ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া, তিনি বলেন, মোবাইল ও অন্যান্য গেজেটে সময় অপচয় করে পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি হয়, তাই এগুলো থেকে বিরত থাকতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন। ভবিষ্যতে তিনি নিজে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে দেশ গঠন এবং শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানের শেষে বৃত্তি পরীক্ষায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি ও অন্যান্য অতিথিরা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিএনপির ৩১ দফার ধারণা পৌঁছে গেছে দেশের ৮৪টি স্কুলের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও সংস্কার কর্মকাণ্ডের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করছে আয়োজকরা।






















