পুরো ভারত জুড়ে প্রতি বছরের মতো এবারের দীপাবলি উৎসবটি ছিলো মারাত্মক উল্লাসে ভরে উঠেছিল। পটকা ফুটানোর ধারাবাহিক উৎসবের অংশ হিসেবে এখবরের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল একটি সাধারণ দেখাচ্ছে এমন খেলনা বন্দুক। তবে এই খেলনার এতটাই মারাত্মক প্রভাব ফেলার ঘটনা প্রথমবারের মতো সামনে এল, যা শিরোনাম তৈরি করেছে। বাজারে আসা এক নতুন ধরনের কার্বাইড বন্দুকের কারণে এ বছর দীপাবলি হয়ে উঠেছিলো এক প্রকার আতঙ্কের। অল্প অল্প দামে কিনে শিশু-কিশোররা এই বন্দুক চালানোর জন্য উচ্ছ্বাসিত হলেও, এর বহুমাত্রিক বিপদজনক দিকটি লুকানো ছিলো। এই বন্দুকটি চালানোর জন্য কেবল মাত্র ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও পানি প্রয়োজন, এবং মাত্র কিছু ক্ষণেই তা বিস্ফোরিত হয়ে বিকট শব্দ তৈরি করে। এই অতি স্বল্প খরচে তৈরি বিনোদনের মাধ্যমে শিশুরা খুব দ্রুত আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তবে এই বন্দুকের তৎক্ষণাৎ বিস্ফোরণে চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে শতাধিক শিশু-কিশোর-কিশোরী। এই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা সত্যিই এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। সোমবার (২৫ অক্টোবর) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০ অক্টোবর দীপাবলি উদযাপনের পরে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত শতাধিক শিশু-কিশোর ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ জনের দৃষ্টিশক্তি ফিরবে না বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। বিহারেও সংখ্যা আরও বেশি, যেখানে রাজধানী পাটনায় স্থায়ী চোখের সমস্যা নিয়ে কমপক্ষে ৫০ জন শিশু-কিশোর চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের মতে, আগামী দিনগুলোতেও এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোপাল মেমোরিয়াল হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার (বিএসএইচআরসি) এর চক্ষু বিভাগ প্রধান ডা. হেমলতা যাদব এই ব্যাপারে বলেন, ‘এই কার্বাইড বন্দুক কোনো সাধারণ খেলনা নয়। এটি আসলে একপ্রকার রাসায়নিক বোমা, যা বিকট শব্দ এবং বিপজ্জনক রাসায়নিক ক্ষয়রূপে শিশুর চোখের গুরুতর ক্ষতি করে। সতর্কতা না নিলে, এই ধরনের খেলনা আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।’






















