বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শোবিজে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রিয় নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নতুন ধাপ এবার যুক্ত হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে তার প্রাক্তন স্ত্রী সামিরা খানসহ মোট ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে রমনা থানার পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত এখন আদালতের নির্দেশে পুনরায় চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, নিশ্চিত করতে যে অভিযুক্তরা কোনওভাবেই দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে জন্য সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরকে সতর্ক রয়েছে। রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তাই কোনও আসামি যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মামলার এজাহারে প্রথম অভিযুক্ত করা হয়েছে সালমান শাহের প্রাক্তন স্ত্রী সামিরা খানকে। এ মামলাটি তার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে, যেখানে মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, অভিনেতা-খলনায়ক ডন, ডেবিট, জাভেদ, ফারুক, রুবী, আব্দুল ছাত্তার, সাজু ও রেজভি আহমেদ ফারহাদ। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর দীর্ঘ তদন্ত চলতে থাকে, যা প্রায় তিন দশক পর্যন্ত চালিত হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, সালমান শাহ হত্যাকাণ্ড ছিল আত্মহত্যা। তবে এই মামলার নতুন এপিসোডে সত্যতা ও অন্যান্য তথ্য উঠে আসায় তদন্তের অবস্থা নতুন মোড় নিচ্ছে।





















