নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর জন্য পরিচালিত আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি শেষ হয়েছে জামায়াতের পক্ষ থেকে। শুনানি শেষে দলটির আইনজীবী শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি আবার আসেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ফলে, আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই সম্পন্ন হবে।
আজ (মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি গ্রহণ করে।
শুনানি চলাকালে, আইনজীবী শিশির মনির উল্লেখ করেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা একেবারেই অনন্য ও আলাদা। তবে, রাজনৈতিক নেতাদের দূরদর্শিতা ও সচেতনতার অভাবে এই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি বার বার proved উপযুক্ত ব্যবস্থা, যা সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃত। এই পরিস্থিতিতে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।’
এর আগে, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট, ষড়যন্ত্রমূলক রায় পুনর্বিবেচনা দিতে সরকারের পক্ষ থেকে দায়ের করা আবেদন মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত, যাকে আবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানির জন্য গ্রহণ করে।
নাগরিক সংগঠন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ মোট পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার এই আপিলে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের আপিল বিভাগ। সেই সময় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পক্ষের আপিল ও আপিলের শুনানি চলমান রয়েছে।






















