গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দোষারোপ করে বলেছেন, যদি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে এই দলটির মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে। তিনি warned করে বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকছে, যা দেশের সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন যদি দেরি হয়ে যায়, তবে তার ফল সকলের জন্য বিপজ্জনক হবে। এটা মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাইলে দলগুলোকে একত্রিত হতে হবে।
নুরুল হক নুর বলেন, শহিদদের চেতনা নিয়ে আমরা ব্যবসা করি, কিন্তু তাদের পরিবার সরাসরি কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না। তাদের চিকিৎসা ও খোঁজখবর নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলেও, অন্তর্বর্তী সরকার এই দায়িত্ব পালন করেনি। এখনাকেও আহত ও পরিবারগুলোর প্রয়োজন পূরণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যা এই সরকারের অপরাধ। তিনি দাবি করেন, আগামী বাংলাদেশ হবে এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত একটি শক্তিশালী ও মহান স্বাধীনতার স্মারক।
তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, নির্বাচন যদি কোনও কারণে পিছিয়ে যায়, তবে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হয়ে উঠবে। তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু কিছু বিপথগামী জেনারেল দেশের স্বার্থে ক্ষতিকর। সেনাবাহিনী এসব দায় নেবে না বলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন।
প্রসঙ্গত, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মন্তব্য করেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র অধিকার পরিষদ পরবর্তীতে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করে। তিনি বলেন, জুলাইয়ের রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের পক্ষে সোচ্চার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একসাথে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন চালিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে আমাদের সুযোগ রয়েছে, উন্নত ও কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রাশেদ খান দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আমরা সবাই রাজনীতিতে মত-পার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। না গেলে, আবারও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসবে। তিনি উল্লেখ করেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে, যা ১/১১ এর ইতিহাসকে ফিরে আনতে চাচ্ছে, এর মাধ্যমে আবারও মনুন্দ্দীন-ফখরুদ্দিন সরকারের মতো অবস্থা তৈরি করতে চায়।






















