তানজিদ হাসান, তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, লিটন দাস, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও নুরুল হাসান সোহান— এই ক্রিকেটাররা কেউই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারেননি। মাঝে তাওহীদ হৃদয় খানিকটা চেষ্টা করলেও তা বেশি কিছু কাজে আসেনি। প্রথমে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলার জন্য এগিয়ে আসেন তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদ। তাদের দুজনের ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি কিছুটা আশা দেখালেও শেষ পর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ। এই জুটি ম্যাচের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করলেও আদৌ সেটা সম্ভব হয়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ১৬ রানে হেরে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হারলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাট করে ১৬৬ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত করে। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আকিল হোসেনের ডেলিভারিতে ছক্কা মারেন। পরের বলে চার মেরে শুরু করেন ভালোভাবেই। দ্বিতীয় ওভারও শুরু হয় দারুণ, জইডেন সিলসের সংক্ষিপ্ত বলে চার মারেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে পরের বলেই সে ফিরে যান ক্যাচ দিয়ে।
তানজিদের ওই সমাপ্তির জন্য রোমারিও শেফার্ডের দুর্দান্ত ক্যাচ ছিল কারণ তিনি আর পারেননি। তিনি ৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন। চোট কাটিয়ে ফিরে আসা লিটনও পারেননি খুব ভালোভাবে মনোযোগ দিতে। আগের বলেই আকিলের রিভার্স সুইপ করে চার মারলেও পরের বলেই লিডিং এজ হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তিনি ৮ বলে ৫ রান করেন।
সাইফ হাসানও একইভাবে আউট হন আকিলের বলে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে শেফার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে। মাত্র ৭ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারি আউট হন জেসন হোল্ডারের সুইং ডেলিভারিতে। ৪ বল খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটার করেছেন মাত্র ১ রান। ছয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটে powar প্লেতে। এর মধ্যে দলের অন্যতম উপভোগ্য ব্যাটসম্যান হৃদয়ও পারেননি নিজেকে আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে রাখতে।
উল্লেখ্য, খ্যারি পিয়েরের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাকফুটে কাট করতে চেয়েছিলেন হৃদয়। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে তা সরাসরি স্টাম্পে লাগে। ফলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১০ বল খেলে ২৫ রান করে ফিরে যান সোহান। তিনি একসময় দলের আস্থারপুর্ন ওপেনার হলেও, শেষমেষ নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি।
ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরার পর তানজিম ও নাসুম ঝড় তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান। তারা দ্রুত রান তোলার জন্য চেষ্টা করলেও হোল্ডার জানিয়ে দেন। ডেপুটি পেসার হোল্ডার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ডিপ পয়েন্টে খেলতে গিয়ে ২৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। এরপর নাসুম করেছেন ১৩ বলে ২০ রান। শেষ দিকে দলের জন্য বড় সংগ্রহের আশা থাকলেও, রিশাদ জ্বলে ওঠার আগেই বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ১৪৯ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সিলস ও হোল্ডার তিনটি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ভাল হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন গোল্ডেন ডাক মারেন শেরফানে রাদারফোর্ড। তবে শেষের দিকে শাই হোপ ২৮ বলে ৪৬ এবং রভম্যান পোলের ৪৪ রান করে যথাক্রমে দলকে ১৬৫ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন। বাংলাদেশের জন্য দুটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, আর একজন উইকেট নেন রিশাদ।




















