পটুয়াখালী জেলায় সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে চোরের হাত থেকে রক্ষা করার সময় গৃহকর্তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের সেহকাঠী গ্রামে। নিহত মোশারেফ খাঁন (৪৫) সেখানকার একজন স্থানীয় ব্যক্তি ও মো. হানিফ খাঁনের বড় ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোবাইক চালক ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে চোরেরা সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এই সময় তারা তাঁর মেয়ে মালা আক্তারকে পা ধরে টানতে থাকে। বাড়ির তারেকতাং না মানায় মালা চিৎকার করতে শুরু করেন। শুনতে পেয়ে মোশারেফ দ্রুত ঘুম থেকে উঠে রাজি হন চোরের হাত থেকে পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করার জন্য। তখনই দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি মোশারেফকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর রক্তক্ষরণে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পথের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। পরে পরিবার তাকে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, হাসপাতালের গেটে পৌঁছানোর আগে তিনি মারা যান।
নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, “রাতে দুই অচেনা লোক সিঁধ কেটে আমাদের বাসায় ঢুকেছিল। তারা আমার মেয়ের পা ধরে টানছিল। ঘুম থেকে উঠে, আমার স্বামী তাদের ধরে ফেলায় তারা তাকে কুপিয়ে মার ডালে। তারা কি চুরি করতে এসেছিল, নাকি অন্য কিছু—তা আমরা জানি না। পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এই ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার চাই।”
নিহতের মা, মোর্শেদা বেগম, কান্তি করে বলেন, “আমার একমাত্র বড় ছেলে আজকে আমাদের ছেড়ে চলে গেল, তাকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাড়িতে শুধু রক্তের সুরে এক করুণ দৃশ্য। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।”
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ও মোবাইল করে তদন্ত শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি অনুসারে, প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






















