আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশের টীমের তরুণ ব্যাটারেরা। বগুড়ায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ, দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে তারা দুঃসাহসিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তবে কালাম সিদ্দিকি ও রিজান হোসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে তারা ম্যাচে ফেরে। শেষ সময়ে আলোকস্বল্পতার কারণে পুরো ৫০ ওভার খেলা শেষ করা সম্ভব হয়নি, তবে ডিএল মেথডে ৫ রানে জয় লাভ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
আফগানিস্তান আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ সফলতা লাভ করেন ইকবাল হোসেন ইমন, যিনি ৫ উইকেট শিকার করেন। রিজানও দুটি উইকেট পান। বাংলাদেশের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় দল। ওপেনার জাওয়াদ আবরার ৩য় ওভারে ফিরিয়ে যান। এরপর আজিজুল হাকিম তামিম ব্যর্থ হয়ে দলের জন্য চাপ তৈরি করেন। রেফাত বেগ শুরুটা ভালো করলেও ৩০ বলে ২৬ রান করে আউট হন। দলের স্কোর তখন ৬০ রানে পৌঁছায়, এবং সেই সময় টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটারই ফিরে যান।
অবশেষে রিজান ও কালাম এক সাথে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা ১৩৯ রান যোগ করেন, যেখানে কালাম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১১৯ বলে ১০১ রান করে তিনি আউট হন। এরপর রিজান মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সাথে প্রয়োজনীয় রানের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান। তবে শেষ মুহূর্তে আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে অল্প ব্যবধানের জয়ে বাংলাদেশ ৫ রানে জয় লাভ করে।
এদিকে, আফগানিস্তানের পক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন খালিদ আহমেদজাই ও ওসমান সাদাত। তবে পরপরই তারা ফিরে যান। খালিদ ৩৪ বলে ৩৪ রান ও ওসমান ২৬ বলে ১৫ রান করেন। পাকিস্তানির উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন, ১৩৭ বলে ১৪০ রান করেন এবং ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন। তার এই দুর্দান্ত শতক সহ ১৬টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে শেষ পর্যন্ত দলকে ধরে রেখে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেন।






















