ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা হতাশাজনক হয়েছে। ব্যাটিংয়ে কেউই নিজেকে শিল্পে পরিণত করতে পারেননি। তাবড় ক্রিকেটাররা পাওয়া যায়নি বলে মনে হয়েছে। মাঝে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন তাওহীদ হৃদয় খানিকটা লড়াই করার, তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি। বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হয় ৭৭ রানে ৬ উইকেট পতনের পর, তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তরুণ ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি আরও কিছু চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষমেশ উইকেটের পতন হয়। বাংলাদেশে মিডিয়াম পেসার নাসুম আহমেদ এবং অলরাউন্ডার সাকিব আল-হাসান ঝড় তুলেন, তারা ২৩ বলে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলের কিছুটা আশা জাগান। তবে এরই মধ্যে দলকে পুরোপুরি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন উইকেটকিপার-ব্যাটার জেসন হোল্ডার এবং শর্টফাইন লেগের অক্ষরে ক্যাচ নিয়ে তাঁদের অর্ধেক দলের আশা শেষ করেন। বাংলাদেশ শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৪২ রান করে ৪ উইকেট হারিয়ে, তখনই ম্যাচের মোড় মোড়ানো হয়। লিডিং এজের কারণে লিটন দাস দ্রুত ফিরতেই, অপরপ্রান্তে সাইফ হাসানও আউট হন। লিটন রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন এবং সাইফও আকিলের বলের শিকার হন। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারি বোল্ড হন, বলের লাইনে ভুল করে। সব মিলিয়ে, পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৪২ রান করে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। দলের আরেক ব্যাটার, তরুণ হৃদয় খানও রান করতে পারেননি। তার কেবিনে আউট হয়েছেন আকিলের বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে। ১০ বল খেলে তিনি মাত্র ৫ রান করেন। তানজিদ আর হৃদয়ের প্রস্থান এর পর, তরুণ নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান দ্রুত রান তুলতে থাকেন। কিন্তু নাসুম ১৩ বলে ২০ রান করেই ফিরেন, এরপর রিশাদ খান শেষ দিকে সুবিধা করতে পারেননি। ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৪৯ রানে, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সহজ লগ্নি। ওদের ওপেনাররা শুরুতেই দিন গড়ে ৫৯ রান যোগ করে, তবুও পুরোপুরি সুবিধা নেননি। শেষে শেরফান রাদারফোর্ড গোল্ডেন ডাক পেয়ে যান, এবং শাই হোপ ২৮ বলে ৪৬ রান ও ভরম্যান পাউয়েল ৪৪ রান করে দলের সংগ্রহকে ১৬৫ রানে নিয়ে যান। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ দুই উইকেট নেন, রিশাদ নেন একটি। ওদের জন্য পেসার সিলস ও হোল্ডার তিনটি করে উইকেট শিকার করেন, বাংলাদেশের জয় স্বপ্ন এখনই বাস্তব হতে পারেনি।




















