২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটনার পর, যেখানে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেখানে তার বাসভবন এখন একটি স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে গ্ৰহণ করা হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই দিন বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এই বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আগে যে ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যিনি গণহত্যার দায়ে বিচারাধীন, তার বাসভবনটি আজ থেকে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই জাদুঘরটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে, এটি জাতীয় জাদুঘরের শাখা বা প্রশাখা নয়।
এছাড়া, এই অধ্যাদেশের আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা আয়নাঘরগুলোও মূল জাদুঘরটির শাখা হিসেবে সম্প্রসারিত করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এই উদ্যোগ দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
			 
		    




















