মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনের জন্য নতুন আইন বা অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ দ্বারা। এই আইনে পরিবারের সদস্য ছাড়াও অন্য কেউ, যাদের সঙ্গে গভীর ইমোশনাল সংযোগ রয়েছে, তাদের নিঃস্বার্থভাবে কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দানের সুযোগ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় বৈঠকের সভাপতিত্ব করছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান আইনে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে পারতেন। এতে করে বিদেশে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের সময় অনেকেই দরিদ্র বা অনিহিত ব্যক্তিদের থেকে টাকা পয়সা দিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার চেষ্টা করতেন। নতুন আইনে সেই সীমাবদ্ধতা দূর করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা চাই যে শুধু পরিবারের নয়, যারা ইমোশনালভাবে সংযুক্ত, তারা একে অপরের সঙ্গে এই ধরনের দানে এগিয়ে আসুক। কেউ যদি নিঃস্বার্থভাবে অন্য কাউকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে চায়, সেই প্রক্রিয়াটিকে আমরা বৈধতা দিয়েছি।” আসিফ নজরুল আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, এই আইনের ফলে দেশের ভিতরে বিদেশে যেতে হবে না মোটেও। এতে করে চিকিৎসার খরচ কমবে, সময় এবং ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে, পাশাপাশি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা রোগীদের জন্যও সহজ হবে।
 
			 
		    




















