রায়েরবাজার কবরস্থানে শায়িত জুলাই শহীদদের লাশ দ্রুত তুলে তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে সরকার। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের আনা হবে তারা লাশগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করবেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, রায়েরবাজারে বহু জুলাই শহীদকে কবর দেওয়া হয়েছে। এসব বেওয়ারিশ লাশের পরিচয় জানা খুব জরুরি। এ জন্য দীর্ঘ দিন ধরে কাজ চলছিল, যাতে ডিএনএ পরীক্ষা করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়। তিনি জানান, বিদেশি এক্সপার্টরা এসে এ কার্যক্রমে গুরুত্ব সহকারে কাজ করবেন, এবং এই প্রক্রিয়া আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে। বর্তমানে সেখানে একথা নিশ্চিত করেছেন যে, ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির লাশ রয়েছে। তাদের পরিচয় জানানো এই প্রকল্পের অন্যতম বড় অঙ্গ।
শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন, ১৯৮৪ সালে থাকা বননীতি এখন পরিবর্তন হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে কোনও বনের ভেতরে বিদেশি প্রজাতির গাছ লাগানো যাবে না। পাশাপাশি, দেশের বনজ সম্পদ রক্ষা এবং কাঠের আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে স্থানীয় গাছের ওপর চাপ কমে।
এছাড়াও, বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুরুতর আহতদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রেস সচিব জানান, এখনও ৬৫ জন আহত বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং একজনের চিকিৎসার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যতদিন তারা বাইরের দেশে থাকবেন, সরকার এই খরচ বহন করবে।
শেষে, তিনি জানিয়েছেন যে, জুলাই শহীদদের অজ্ঞাত লাশের দ্রুত শনাক্তের জন্য রায়েরবাজার শহীদ কবরস্থানে একটি ডিএনএ ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শহীদদের মরদেহের পরিচয় দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
 
			 
		    




















