ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের ইলামবাজারে একজন ৯৫ বছর বৃদ্ধ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি তার নিজের মেয়ের বাড়িতে বৃহস্পতিবার এই চরম সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে পুশইনের ভয় থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
আনন্দজনক এই ঘটনার মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নাগরিকদের উদ্বেগের বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে কলকাতা মহানগরীতে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কার্যক্রম শুরু হবে, যা নিয়ে অনেকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষিতীশ মজুমদার নামে ওই বৃদ্ধের পরিবার জানিয়েছে, ২০০২ সালে তৈরি হওয়া ভোটার তালিকায় তার নাম ছিল না। যখন থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে, তখন থেকেই তিনি ভয় পান যে তাকে বাংলাদেশে পুশইন করা হবে। তারা উল্লেখ করেছেন, তিনি খুবই ছোট বয়সে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন এবং সেখানে অনেক কষ্ট করে জীবন গড়েছেন।
নাতনি নির্মলা বলেন, “আমার দাদার নাম ২০০২ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় ছিল না। তিনি বহু আগে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছিলেন। বাংলাদেশে পুশইনের ভয়েই তিনি খুবই চিন্তিত ছিলেন। এই বয়সে যদি আবার বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তা হলে তিনি কি করবেন?”
তবে মৃতদেহের পরিবারের অন্য সদস্যরা এই বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, দাদার কাছে কোনো নোট পাওয়া যায়নি যেখানে তিনি এই ধরনের ভয় বা চিন্তার কথা উল্লেখ করেছেন।
ক্ষিতীশ পশ্চিম মোদিনিপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি তার মেয়ের বাড়িতে থাকতেন ইলামবাজারে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি তিনি ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য ভয় পেয়েছিলেন, এ কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে আমাদের কাছে কেউ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।” সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
 
			 
		    






















