গণ অধিকার পরিষদের জন নেতা নুরুল হক নুর হামেশাই গণভোটের দাবির পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থ ও মানুষের বিভ্রান্তির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে এই দাবি করা হয়ে থাকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে মূল উদ্দেশ্য ঢাকার চেষ্টায়। নুর উল্লেখ করেন, ‘গণভোটের দাবি প্রচার করা হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। এর পেছনে রয়েছে অনেকেরই বিরোধী দল হওয়ার জন্য দান-দরবার বা নিজস্ব সুবিধা আদায়ের চেষ্টাই।’
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) জেএসডির এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘গণভোটের এই দাবি মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য; দেশের ও জাতির স্বার্থে নয়। এতে নির্বাচনের সময় ক্ষুণ্ণ হবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে। যদি সরকার তিন মাস আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করত, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্ভব হতো। প্রতি নির্বাচন আগে এক মাসের মধ্যে গণভোটের জন্য সময় পাওয়া সম্ভব। তবে দুর্বল প্রশাসন এবং সরকারের বদলে যাওয়া রূপ দেখছি, যারা সময়ের সাথে সাথে চরিত্র পরিবর্তন করে যাচ্ছে।’
নুর জানিয়েছেন, ‘সত্তর দশকের স্বাক্ষরিত সাংবিধানিক সনদ অনুযায়ী এখন আর নির্বাচনে বাধা নেই। তিনি সরকারকে আহ্বান জানান, জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের, যাতে নতুন বছরের প্রথম মাসে জাতীয় নির্বাচন হয়। এর সাথে গণভোটের পরিকল্পনা থাকলেও, সময়ের জন্য তা সম্ভব।’
নুরের মতে, ‘গণভোট নিয়ে যদি বিরোধ বা বিভাজন সৃষ্টি হয়, তাহলে আমরা যারা স্বৈরাচার ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, তাদের সুযোগ নেওয়া হবে। আমরা চাই এই ধরনের অপ প্রয়াস প্রতিহত করে গণতান্ত্রিক ও সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকুক।’





















