বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তাদের মূল লক্ষ্য হলো ২০৩৪ সালের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি গড়ে তোলা, যা লক্ষ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট—একটি অর্থনীতি তৈরি যেখানে প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে নারীরা, গর্বের সঙ্গে দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি কর্মজীবী মহিলাদের জন্য কাজের ঘণ্টা কমিয়ে ৮ থেকে ৫ ঘণ্টা করবেন। এর পাশাপাশি, নারীদের জন্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শিশু পরিচর্যার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, শিশুদের জন্য ভালো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক তরুণী মা চাকরি বা লেখাপড়ায় বাধা পায়, যার ফলে দেশের সম্ভাবনা, উৎপাদনশীলতা এবং অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি আধুনিক, গণমুখী বাংলাদেশ গড়া যেখানে নারীরা যাতে তার পরিবার ও ভবিষ্যত পৃথক করে না নিতে হয়।’ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, পুরুষের তুলনায় নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম—মোট পুরুষের ৮০ শতাংশের বিপরীতে নারীর অংশগ্রহণ ৪৩ শতাংশ। এই বিরতিকে কাটিয়ে উঠতে, বিএনপি.Children and women’s empowerment initiatives—including setting up ডে-কেয়ার সেন্টার, সরকারি ও বেসরকারি খাতের জন্য বাধ্যতামূলক শিশু পরিচর্যার ব্যবস্থা, কর সুবিধা ও প্রশিক্ষণ—বিলাপ করে নানা সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘শিশু পরিচর্যা কোনো দয়ামোকারি নয়, এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠામোর অপরিহার্য অংশ। ডে-কেয়ার সেন্টার নারীদের কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় অবদান রাখবে, যেন তারা পরিবার ও কর্মক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় রাখতে পারে।’ তিনি দৃঢ়ভাবে বললেন, ‘২০৩৪ সালের মধ্যে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি গড়ে তোলা, যা লক্ষ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে—প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে নারী, গর্বের সঙ্গে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নারীর সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করে এমন পশ্চাৎমুখী ধারণা প্রত্যাখ্যান করি। শিশু পরিচর্যা, সমান মজুরি ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নারীর ক্ষমতায়নের মূল চাবিকাঠি—এগুলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়সঙ্গতি ও মানবাধিকারও। চলুন, এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেখানে প্রতিটি মা, প্রতিটি ছাত্রী নিজের স্বপ্নে সফল হওয়ার সুযোগ পায়, যেখানে সমাজের যত্ন ও সহযোগিতা হয় উন্নতির মূল ভিত্তি।’





















