গাজা যুদ্ধে থাকা অবস্থায় এক ফিলিস্তিনি বন্দির ওপর ইসরাইলি সেনাদের বর্বরতা ও নির্যাতনের ভিডিও সম্প্রতি ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার ফলে দেশটির সেনা প্রধান আইনি কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইফাত টোমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন। তিনি শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। স্বয়ং তিনি স্বীকার করেছেন যে, এই ভিডিও প্রকাশের অনুমতি তিনি গত বছর আগস্টে দিয়েছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়। নির্যাতনের অভিযোগে এখন পর্যন্ত পাঁচজন সেনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রভাব দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে পড়ে। ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে দ্রুত তদন্তের প্রয়োজনীয়তা ও ঘটনার সত্যতা নিয়ে সমালোচনা করে, এবং শঙ্কা প্রকাশ করে যে, এর জন্য সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে অকার্যকর প্রভাব পড়তে পারে। একই সঙ্গে, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ঘাঁটিতে প্রবেশের সময় বিক্ষোভ দাঙ্গাও দেখা যায়, যেখানে তারা হামলার শিকার হয়।
এক সপ্তাহের মধ্যে একটি নিরাপত্তা ক্যামেরার দৃশ্যাবলি ইসরাইলের অন্যতম সংবাদমাধ্যম এন১২-তে প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, কয়েকজন সেনা এক বন্দিকে পাশে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, চারপাশে সশস্ত্র সৈন্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তবে ভেতরে কি ঘটছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
গত বুধবার, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ জানিয়ে দেন, এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় Fফৌজদারি তদন্ত চলমান রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই টোমার-ইয়েরুশালমিকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
পদত্যাগপত্রে ইফাত টোমার-ইয়েরুশালমি উল্লেখ করেন, তিনি কোনও আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেননি, বরং সেনা আইনি বিভাগের সম্মান রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধকালীন এই বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় যাতে কিছু বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে। ঘটনাটি ইসরাইলের সামরিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যেখানে নানা মত প্রকাশ ও তদন্তের দাবি জোরালো হচ্ছে।






















