২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা এবং aantal আহতের ঘটনা নিয়ে আলোচনায় আইনি পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। সোমবার (২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ ব্যাপারে আদেশ দেন। এতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগ의 যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগ যথাযথভাবে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান। এর আগে, ২৮ অক্টোবর হানিফসহ পলাতক চার আসামির পক্ষে অভিযোগপত্র পড়েন আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি শুরুতেই অভিযোগের ব্যপারে সমালোচনা করেন এবং আসামিদের জন্য অব্যাহতির আবেদন করেন। পরে, সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগ পড়ে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।
উল্লেখ্য, হানিফ ছাড়াও চারজনের বিরুদ্ধে এ ফরমাল চার্জ গঠন প্রক্রিয়া চলছিল। তারা হলেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
গত ২৩ অক্টোবর হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং তাদের হাজিরার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও, পলাতক থাকায় তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ট্রাইব্যুনাল এই চারজনের জন্য স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেয়। এদের বিরুদ্ধে ৬ অক্টোবর প্রথম অভিযোগপত্র জমা পড়ে এবং ৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক শুনানি হয়।
অভিযোগে তুলে ধরা হয়, উসকানিমূলক বক্তব্য, ষড়যন্ত্র ও কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার অভিযোগ। এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ায় ছয়জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। এর জের ধরে জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ও আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।




















