বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীনের নেতারা বর্তমান সরকারের আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্তকে এক দলকে ক্ষুব্ধ করে নতিস্বীকারের মতো বলে মনে করছেন। দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো: তাহের দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার ভিডিও বার্তায় এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত এই সংশোধনকাজ বিভিন্ন দলের আবদার মেনে নেওয়ার মতো এক ধরনের নতিস্বীকার। তিনি আরও বলেন, এর আগে সরকারের বিভিন্ন পদ্ধতিতে একাধিক বার এক দলের প্রতি বিশেষ অঙ্গীকার ও আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছিল। যেমন, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে গিয়ে একটি অসম ও অবৈধ চুক্তির মাধ্যমে একটি দলের চাপের কাছে স্বীকার করেছেন, পাশাপাশি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে গিয়ে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা গেছে। সর্বশেষ, একই উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত আরপি সংশোধনকে এক দলের পক্ষ থেকে দ্বিমত প্রকাশের পরও সেটাকে পুনর্বিবেচনা করার নামে সরকারের পক্ষ থেকে আনুগত্য প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়ে বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না এবং এর নিন্দা জানাই। তিনি স্পষ্ট করেন, নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদে প্রত্যেক দলের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তের সাথে তারা একমত। এ কারণে, তারা এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা চাইছে; অন্যথায়, দেশের গণতান্ত্রিক পথে প্রতিবাদ হবে। তাহের বলেন, বিএনপি নতুন করে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, সেটি জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা যদি এ চক্রের কাছে নতি স্বীকার করেন, তাহলে জাতির সাথে করা বৈঠকের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে বলে মনে করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, উনি দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং নির্বাচন সংশোধন নিয়ে সঠিক পথে যাবেন, যেন দেশ ও জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না হয়।




















