বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন যে, সমাজের চারপাশে গোপনে থাকা স্বৈরাচারী শক্তিগুলোর হাত থেকে দেশের গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক মূলনীতি রক্ষা করতে তার দল একত্রিত হয়ে কাজ করবে। এই মন্তব্য করে তিনি দলীয় একক প্রার্থীকে বিজয়ী করে যেন এই ‘গুপ্ত স্বৈরাচার’ প্রতিরোধ করা যায়, সেই জন্য দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
রোববার রাজধানীর গুলশানে এক হোটেলে বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীদের প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্যপদ গ্রহণের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দলের ওয়েবসাইটের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শীঘ্রই বিভিন্ন সংসদীয় আসনের জন্য বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। দল যাকে যেখানে মনোনয়ন দেবে, সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জয়যুক্ত করে সেই প্রার্থীদের নির্বাচনে বিজয়ী করে আনতে হবে। তারেক রহমান সতর্ক করে বলেন, আমাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা ও গুপ্ত স্বৈরাচার lurking করছে, তাই নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ ও বিরোধ আসন্ন নির্বাচনে কোনও ধরনের সুযোগ দেবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, ধানের শীষে ভোট দিলে যুব থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ—প্রতিটি বিএনপি কর্মী, সমর্থক ও নেতাকর্মী শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবেন। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও প্রগতির বিজয় ঘটবে। তিনি বললেন, ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষককে অবজ্ঞা করা বা তার অবদানকে প্রশ্ন করার লক্ষণীয় কোনও কাজ যেন না হয়। এ জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সমাপ্তিতে তিনি স্লোগান দেন, ‘ভোট দিলে ধানের শীষে দেশ গড়ব, মিলে-মিশে।’
বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন সঠিক সময়ে তফসিল ঘোষণা করবে। এই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি প্রস্তুত হচ্ছে এবং প্রায় ৩০০ সংসদীয় আসনে দলের বা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনকেও বিএনপি সমর্থন দিচ্ছে। এ কারণে কিছু আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারে, তবে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়—এটাই আমাদের মূল মানদণ্ড।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের প্রযুক্তির চার্টার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এই ‘ফোর্থ ইনдуস্ট্রিয়াল রেভলিউশনের’ যুগে আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। সবারই প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হওয়ার জন্য তিনি দলের সবাইকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল কার্যক্রমে আরও অগ্রসর হওয়াই আমাদের ভবিষ্যত।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।





















