নির্বন্ধনপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘শাপলা কলি’ প্রতীকের আওতায় নিজেদের দলীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল হক মুসা।
রোববার (০২ নভেম্বর) বিকেলে নির্বাচনী কমিশনের সদর দপ্তরে সিইসির সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিতে যান এনসিপির প্রতিনিধিরা, যার মধ্যে ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তারা এসব তথ্য ব্যাখ্যা করেন।
জহিরুল হক মুসা জানান, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন শপিলা, সাদা শাপলা এবং শাপলা কলি এই তিনটি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, প্রথমে ছিল শাপলা, দ্বিতীয় ছিল সাদা শাপলা, এবং তৃতীয়ত শাপলা কলি। এনসিপি এই তালিকা থেকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী একটি প্রতীক নির্বাচন করে আবেদন করেছে। যদি শাপলা কলি তাদের দেওয়া প্রতীকের মধ্যে থাকে তাহলে তারা এই প্রতীককে মেনে নেবে বলে স্পষ্ট করে বলেন তিনি।
নিবন্ধনের জন্য তারা এনসিপি পক্ষ থেকে ‘শাপলা’, ‘সাদা শাপলা’ এবং ‘শাপলা কলি’ এই তিনটি প্রতীককে পছন্দ করে আবেদন জানিয়েছে। তারা আবেদন করে বলে, এই প্রতীকগুলো তাদের পছন্দের বিষয়, এবং তারা চাইছে নির্বাচন কমিশন দ্রুত এক জনস্বেবাজ্ঞানপত্র জারি করে এই প্রতীকগুলোকে অনুমোদন দিক।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভোটের প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হয়। কিন্তু প্রচুর দাবির পরও, নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখনো কোনও দলকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, নির্বাচন বিধিতে এই প্রতীকের ব্যবহার বা বরাদ্দের জন্য হুকুম বা ব্যবস্থা এখনও যথাযথভাবে নিশ্চিত হয়নি। এ কারণে, এনসিপি এখনও তাদের পছন্দের শাপলা প্রতীকের জন্য অপেক্ষা করছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়, যেখানে নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরে এনসিপি এই প্রতীককে তাদের দলের প্রতীক হিসেবে দাবি করে আসছে।
২০২৪ সালে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নির্বাচন কমিশন দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে এনসিপি রয়েছে এবং তাঁদের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা কলি’ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চলমান প্রক্রিয়া চলছে। তবে, এখনও এই বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়ায়, এনসিপি শীঘ্রই এই প্রতীকের স্বীকৃতি পাবে বলে আশা করছে।




















